জহুরুল হক আকন :- গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় ক্লিনিকের ৫০৩ নং রুমে এ ঘটনা ঘটেছে।
চিকিৎসাধীন রোগীর স্বামী তরিকুল ইসলাম জানান, অল্পের জন্য বড় অঘটনের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন তার স্ত্রী ও নবজাতক কণ্যা তানিশা। তার স্ত্রী একজন সিজারিয়ান রোগী।
মডার্ন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৫ম তলায় ৫০৩ নং কক্ষে ভর্তি রয়েছেন উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামের বাসীন্দা তরিকুলের স্ত্রী। তিনি গর্ভবতী হওয়ায় সন্তান প্রসব করার জন্য এক দালালের মাধ্যমে ১৬ হাজার টাকা চুক্তিতে বুধবার ভর্তি হন ওই ক্লিনিকে। ওইদিন ৪.৪৫ টায় ক্লিনিকে সিজারিনের মাধ্যমে তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। ক্লিনিকে ভর্তি অন্য রোগীর পরিজনেরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় আচমকা ৫০৩ নং রুমে বিকট শব্দ হয়। পরে তারা জানতে পারেন ওই রুমের সিলিং ফ্যানের একটি পাখা ভেঙে নিচে পরেছে। শব্দ শুনে অন্য রোগীরা চমকে ওঠেন। একটু ধাতস্থ হয়ে তাঁরা দেখেন, ওই রুমে একদিনের সিজারিয়ান তানিশাকে নিয়ে তার মা ও বাবা কাঁদছে। তাদের চোখে মুখে ভয়।ভাগ্যিস, পাখা ভেঙে নবজাতক কিবা ওই রোগীর মাথায় লাগেনি।
ঘটনার পড় ভাংগা ফ্যানটি বদলিয়ে নতুন একটি সিলিং ফ্যান লাগানো হয়েছে।
রোগীর স্বজন জাহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার নবজাতক তানিশার মাকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই রুমের ফ্যান থেকে বিকট শব্দ হচ্ছিল। ওয়ার্ডের কর্মীদের ডেকে তা দেখিয়ে ফ্যান ঠিক করে দিতে বলা হয়। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এতে কোন কর্ণপাত করেনি।
ক্লিনিকের কোষাধ্যক্ষ জানান, এটি নিছক দুর্ঘটনা। বিষয়টি তিনি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি জানান, বাকেরগঞ্জ মডার্ন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরুরী বিভাগে কোনো ডাক্তার নেই। চিকিৎসা নেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেবা নয় ব্যবসাই মূল লক্ষ্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের। এলাকাবাসী এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
২৭/২, দূর্গাপুর, উপর রাজারামপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৬৩০০
২০২৫ © দৈনিক অধিকার কতৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত