দেশজুড়ে মুসলিম শিশু ও কিশোরীদের ধর্ষণ, নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকায় ‘উলামা-জনতা পরিষদ, রাজশাহী’র ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, দেশে এক শ্রেণির সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে মুসলিম নারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। “মুসলিম কন্যাদের সম্ভ্রম আজ নিরাপদ নয়”এমন ক্ষোভ জানিয়ে বক্তারা বলেন, এই ভয়াবহতা রোধে প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভূমিকা ‘নীরব ও লজ্জাজনক’।

তারা বলেন, দেশে যখন একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, তখন সরকারের নীরবতা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে। বক্তারা অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জাতীয়ভাবে ধর্ষণবিরোধী গণজাগরণ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার মাহমুদুল হাসান (লিটন), রাবির দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুম বিল্লাহ, হেফাজতে ইসলাম রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ তালহা হাফি, মালোপাড়া দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসাইদ, রেশমপট্টি জামে মসজিদের খতিব মুফতি আহমদ উল্লাহ, এবং গৌরহাঙ্গা জামে মসজিদের পেস ইমাম মুফতি আফজালুল রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “ধর্ষণ আজ শুধু অপরাধ নয়, এটা মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান—এই বর্বরতার বিরুদ্ধে একসাথে রুখে দাঁড়াতে হবে।

বিক্ষোভে অংশ নেন রাজশাহীর বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মী ও হাজারো সাধারণ মানুষ। কর্মসূচির শেষে দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগবান করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সংগঠনের নেতারা।