ঢাকা ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
[gtranslate]
শিরোনামঃ
ভিডিও বানাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কনটেন্ট ক্রিয়েটর শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে সৎ মা আটক- পলাতক বাবা লুট হওয়া জামায়াতের ৯ মোটরসাইকেল বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা রাজধানীর সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনে ট্রেনের ছাদে দুই ব্যক্তি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সিনিয়র সাংবাদিক জহির এনসিপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হতে আর ‘দুই দিন’ সময় লাগতে পারে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় যুব দলের দোয়া মাহফিল “স্বেচ্ছায় বিবাহ, তবুও  অপহরণ মামলা-নিরাপত্তা চেয়ে  ইসরাত খাতুন”র সংবাদ সম্মেলন ৮ দল আমাদের আর ৮ দল থাকছে না- আরও অনেক দল জোট করার আবেদন করছে- গোলাম পরওয়ার

নগরীতে রাতে – দিনে পাহাড় কেটে ধংস করছে পরিবেশ, নেপথ্যে নায়ক আওয়ামী বাস্তূহারা লীগ নেতা ফজলু….

সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন পাহাড়িকা আবাসিকের ৮ নং রোডের আসমা টাওয়ারের পিছনে দিনরাত এভাবে পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করছে ফ্যাসিবাদের দোসর আওয়ামী বাস্তূহারা লীগের  সভাপতি পাহাড় খেকো ফজলু, এবিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি সে বর্তমানে এই এলাকায় যে বাড়িটি বসবাস করছে সেটিও পাহাড় কেটে নির্মাণ করা। স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাদের দোসরা দেশে ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এই পাহাড় খেকো ফজলু কিভাবে বহাল তবিয়তে থেকে এখনো পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছে তার পিছনের শক্তি কোথায়?? কোন সংগঠনের নেতারা শেল্টার দিচ্ছে????   সে ১৫/১৬ লাখ টাকায় পাহাড় কেটে ফ্লট রেডি করে দেয়ার কন্ট্রাক্ট নেয়,ঐটাকা থেকে প্রশাসন ও স্থানীয় নেতা, কিশোর গ্যাংদের সাথে রাখে।
এবিষয়ে ফজলুর সাথে কথা বললে সে জানায়,জহাজের এক ক্যাপ্টেন টুটুল ঐখানে ভবন নির্মাণ করবে, ফজলু উনার কাজ তদারকি করছেন। যেখানে মাটি কাটা হচ্ছে সেটা ময়লার স্তূপ। পরিবেশের সহকারী পরিচালক মোক্তাদিরের সাথে কথা বললে তিনি জানান রাতে অভিযোগ পেয়ে ঐ পরিস্থিতিতে থানা থেকে পুলিশ না পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি, দিনের বেলায়ও একই অবস্থা।থানা থেকে পুলিশের সহযোগিতা পেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ যারা এসব পাহাড় কাটার কন্ট্রাক্ট নেয়, তারা থানাও পরিবেশের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এ কাজগুলি করে। কারণ যখনই পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করার বিষয়ে থানা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জানানো হয়, তখনই তাদের একটাই সমস্যা জনবল সংকট, থানায় এই মুহূর্তে পুলিশ নেই। অথচ থানা ইচ্ছে করেই ওই সময় থানা পুলিশকে বিভিন্ন দিকে টহলে পাঠিয়ে দেয়। ওই সময়টুকুতেই পাহাড় কেটে ফ্লট রেডি হয়ে যায়। পরিবেশের কর্মকর্তারা এসে নামে মাত্র পরিদর্শন করে মামলা দিয়ে চলে যায়।
২৯ সেপ্টেম্বর রাতে পরিবেশের কর্মকর্তাদের স্থানীয়রা জানালেও ৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ০১:৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পরিবেশের কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসন। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বায়েজিদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছিল, পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের নোটিশ করেছে,  আমরাও যে কোন সময়ে এধরণের অপরাধের ঘটনা জানতে পারলে, সাতে সাথে নিব। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ সঠিক নয়, আমরা কখনও এধরনের কাজে অপরাধিকে সহযোগিতা করার প্রশ্নই আসেন।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

ভিডিও বানাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কনটেন্ট ক্রিয়েটর

নগরীতে রাতে – দিনে পাহাড় কেটে ধংস করছে পরিবেশ, নেপথ্যে নায়ক আওয়ামী বাস্তূহারা লীগ নেতা ফজলু….

প্রকাশের সময়ঃ ০৯:০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন পাহাড়িকা আবাসিকের ৮ নং রোডের আসমা টাওয়ারের পিছনে দিনরাত এভাবে পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করছে ফ্যাসিবাদের দোসর আওয়ামী বাস্তূহারা লীগের  সভাপতি পাহাড় খেকো ফজলু, এবিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি সে বর্তমানে এই এলাকায় যে বাড়িটি বসবাস করছে সেটিও পাহাড় কেটে নির্মাণ করা। স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাদের দোসরা দেশে ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এই পাহাড় খেকো ফজলু কিভাবে বহাল তবিয়তে থেকে এখনো পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছে তার পিছনের শক্তি কোথায়?? কোন সংগঠনের নেতারা শেল্টার দিচ্ছে????   সে ১৫/১৬ লাখ টাকায় পাহাড় কেটে ফ্লট রেডি করে দেয়ার কন্ট্রাক্ট নেয়,ঐটাকা থেকে প্রশাসন ও স্থানীয় নেতা, কিশোর গ্যাংদের সাথে রাখে।
এবিষয়ে ফজলুর সাথে কথা বললে সে জানায়,জহাজের এক ক্যাপ্টেন টুটুল ঐখানে ভবন নির্মাণ করবে, ফজলু উনার কাজ তদারকি করছেন। যেখানে মাটি কাটা হচ্ছে সেটা ময়লার স্তূপ। পরিবেশের সহকারী পরিচালক মোক্তাদিরের সাথে কথা বললে তিনি জানান রাতে অভিযোগ পেয়ে ঐ পরিস্থিতিতে থানা থেকে পুলিশ না পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি, দিনের বেলায়ও একই অবস্থা।থানা থেকে পুলিশের সহযোগিতা পেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ যারা এসব পাহাড় কাটার কন্ট্রাক্ট নেয়, তারা থানাও পরিবেশের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এ কাজগুলি করে। কারণ যখনই পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করার বিষয়ে থানা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জানানো হয়, তখনই তাদের একটাই সমস্যা জনবল সংকট, থানায় এই মুহূর্তে পুলিশ নেই। অথচ থানা ইচ্ছে করেই ওই সময় থানা পুলিশকে বিভিন্ন দিকে টহলে পাঠিয়ে দেয়। ওই সময়টুকুতেই পাহাড় কেটে ফ্লট রেডি হয়ে যায়। পরিবেশের কর্মকর্তারা এসে নামে মাত্র পরিদর্শন করে মামলা দিয়ে চলে যায়।
২৯ সেপ্টেম্বর রাতে পরিবেশের কর্মকর্তাদের স্থানীয়রা জানালেও ৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ০১:৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পরিবেশের কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসন। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বায়েজিদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছিল, পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের নোটিশ করেছে,  আমরাও যে কোন সময়ে এধরণের অপরাধের ঘটনা জানতে পারলে, সাতে সাথে নিব। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ সঠিক নয়, আমরা কখনও এধরনের কাজে অপরাধিকে সহযোগিতা করার প্রশ্নই আসেন।