বাবা-মায়ের বুক খালি করে বোনের পর না ফেরার দেশে ভাই নাফিও
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ১০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, নাফির শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে তার বোন নাজিয়া মারা যায়। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এই ঘটনায় এখন বার্ন ইউনিটে ১১ জন শিক্ষার্থী-শিক্ষক মারা যান। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
নাজিয়া ও নাফি বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় থাকত। ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নাজিয়া তৃতীয় শ্রেণীতে আর নাফি প্রথম শ্রেণীতে পড়ত।
এর আগে দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমানবাহিনীর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৬৫ জন।
গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে একটি যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়। একটি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের ৭ মিনিট পর ১টা ১৩ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে মাইলস্টোন স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গেই সেটিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনটিতে।
আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যাচ্ছে বিমানটি। একেবারে মাইলস্টোন স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। মুহূর্তেই ধরে যায় আগুন। ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। আশপাশে থাকা সবাই দৌড়ে এগিয়ে যান ভবনটিতে।
দৈনিক অধিকার ডেস্ক 















