
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-
কুড়িগ্রামের রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপ অবৈধ বালু উত্তোলন এবং মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তার জীবন এখন সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মাদক কারবারী রনির নেতৃত্ব একদল দুবৃত্ত তার বুকে এবং হাতেঊ ছুরিকাঘাত করলেও নিরাপত্তা জনিত কারণে তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- মাদক কারবারী রনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে এলাকার জনগুরুত্বপুর্ণ একটি স্লুইস গেটের সন্নিকট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে থাকলে রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপ নাগেরশ্বরীর ইউএনওকে বলে ভ্রাম্যমান আাদালত বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। এরপাশাপাশি মাদক কারবারী রনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এলাকায় অবৈধ মাদক কেনা বেচার সাথে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় কথা বলেন রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপ। এনিয়ে ক্ষিপ্ত হয় মাদক কারবারী রনি। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রনি ও তার লোকজন রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপের বাড়ীর সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং চেয়ারম্যানের ছোট ভাই বাপ্পীকে পিটাতে থাকে। এসময় রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপ এগিয়ে এলে দুবৃত্তরা তার বুকে এবং ডান হাতে ছুরিকাঘাত সহ তাকে রড দিয়ে এলোপাতারী পিটায়। এমন পরিস্থিতি দেখে এলাকাবাসী দুবৃত্তদের গণপিটুনী দেয়। এরপর দুবৃত্তরা রায়গঞ্জ পেট্রোল পাম্পের সামনে অবস্থান নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপকে মেরে ফেলার ঘোষনা দেয়। এখন দুবৃত্তদের ভয়ে ছুরিকাঘাত ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপ স্থানীয় হাসপাতালে আসার সাহস পাচ্ছে না।
এদিকে গতকাল শুক্রবার অবৈধ মাদক এবং অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলন বন্ধের উদ্যোগ গ্রহনকারী ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপের উপর হামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসী মিছিল এবং মানব বন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে।
এব্যাপারে শুক্রবার নাগেরশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজার সাথে কথা হলে তিনি জানান- এঘটনায় দুটি পক্ষই মামলা করার জন্য থানায় এসেছে। তারমধ্যে রনির চাচা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপ সহ ২৭ জনের নামে একটি মামলা দিয়েছে। এছাড়াও রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপের পক্ষে আর একটি মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য- নিরাপত্তা জনিত কারণে চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপ স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ব্যার্থ হবার পর কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানের নির্দেশে পার্শ্ববর্তী ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি তাকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান দীপ তার নিজ বাসায় অবস্থান করছেন।
দৈনিক অধিকার ডেস্ক 















