ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
[gtranslate]
শিরোনামঃ
ভিডিও বানাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কনটেন্ট ক্রিয়েটর শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে সৎ মা আটক- পলাতক বাবা লুট হওয়া জামায়াতের ৯ মোটরসাইকেল বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা রাজধানীর সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনে ট্রেনের ছাদে দুই ব্যক্তি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সিনিয়র সাংবাদিক জহির এনসিপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হতে আর ‘দুই দিন’ সময় লাগতে পারে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় যুব দলের দোয়া মাহফিল “স্বেচ্ছায় বিবাহ, তবুও  অপহরণ মামলা-নিরাপত্তা চেয়ে  ইসরাত খাতুন”র সংবাদ সম্মেলন ৮ দল আমাদের আর ৮ দল থাকছে না- আরও অনেক দল জোট করার আবেদন করছে- গোলাম পরওয়ার

আট বছর ধরে সেতু ভেঙে দুর্ভোগে উলিপুরের হাজারো মানুষ।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, মোঃ সোলায়মান গনি:-

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বড়ুয়া তবকপুর এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু আট বছর ধরে ভেঙে পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিনেও এটি মেরামত বা পুনর্নির্মাণ না করায় এলাকার হাজারো মানুষ—বিশেষ করে শিক্ষার্থী, রোগী ও ব্যবসায়ীরা—চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে বড়ুয়া তবকপুর হয়ে রসুলপুর চুনিয়ারপার মোড় পর্যন্ত আট কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মাণ করেছিল। ওই সড়কের পাঁচ কিলোমিটার দূরে তবকপুর বাজারের কাছে থাকা সেতুটি ২০১৮ সালের বন্যায় ভেঙে যায়। এরপর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

বর্তমানে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে ভেলায় পারাপার হচ্ছেন কিংবা কৃষিজমির সরু আইল ধরে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাচ্ছেন। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় তিন কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়।

স্কুলছাত্র আরিফ হোসেন বলেন, “বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে ভয় লাগে, কখন পানিতে পড়ে যাই কে জানে। তাই মাঝে মাঝে স্কুলেই যেতে পারি না।”

স্থানীয় গৃহবধূ রাহেনা বেগম জানান, “সেতুটা অনেক বছর ভাঙা পড়ে আছে। অসুস্থ বা গর্ভবতী মহিলাদের নিতে খুব কষ্ট হয়। কেউ আসে না দেখতে। সেতুটা ঠিক করে দিলে খুব উপকার হতো।”

অটোচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, “আট বছর ধরে এই সেতু ভাঙা। যানবাহন চলে না, মালামাল নেওয়া যায় না। কেউ অসুস্থ হলে ১৫–১৬ কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতালে নিতে হয়।”

স্কুলশিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, “তবকপুরসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ এই পথ ব্যবহার করে। জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার অনুরোধ করেও কোনো ফল হয়নি।”

উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন, “সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।”

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

ভিডিও বানাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কনটেন্ট ক্রিয়েটর

আট বছর ধরে সেতু ভেঙে দুর্ভোগে উলিপুরের হাজারো মানুষ।

প্রকাশের সময়ঃ ১২:২৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, মোঃ সোলায়মান গনি:-

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বড়ুয়া তবকপুর এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু আট বছর ধরে ভেঙে পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিনেও এটি মেরামত বা পুনর্নির্মাণ না করায় এলাকার হাজারো মানুষ—বিশেষ করে শিক্ষার্থী, রোগী ও ব্যবসায়ীরা—চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে বড়ুয়া তবকপুর হয়ে রসুলপুর চুনিয়ারপার মোড় পর্যন্ত আট কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মাণ করেছিল। ওই সড়কের পাঁচ কিলোমিটার দূরে তবকপুর বাজারের কাছে থাকা সেতুটি ২০১৮ সালের বন্যায় ভেঙে যায়। এরপর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

বর্তমানে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে ভেলায় পারাপার হচ্ছেন কিংবা কৃষিজমির সরু আইল ধরে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাচ্ছেন। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় তিন কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়।

স্কুলছাত্র আরিফ হোসেন বলেন, “বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে ভয় লাগে, কখন পানিতে পড়ে যাই কে জানে। তাই মাঝে মাঝে স্কুলেই যেতে পারি না।”

স্থানীয় গৃহবধূ রাহেনা বেগম জানান, “সেতুটা অনেক বছর ভাঙা পড়ে আছে। অসুস্থ বা গর্ভবতী মহিলাদের নিতে খুব কষ্ট হয়। কেউ আসে না দেখতে। সেতুটা ঠিক করে দিলে খুব উপকার হতো।”

অটোচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, “আট বছর ধরে এই সেতু ভাঙা। যানবাহন চলে না, মালামাল নেওয়া যায় না। কেউ অসুস্থ হলে ১৫–১৬ কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতালে নিতে হয়।”

স্কুলশিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, “তবকপুরসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ এই পথ ব্যবহার করে। জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার অনুরোধ করেও কোনো ফল হয়নি।”

উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন, “সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।”