ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
[gtranslate]
শিরোনামঃ
ভিডিও বানাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কনটেন্ট ক্রিয়েটর শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে সৎ মা আটক- পলাতক বাবা লুট হওয়া জামায়াতের ৯ মোটরসাইকেল বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা রাজধানীর সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনে ট্রেনের ছাদে দুই ব্যক্তি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সিনিয়র সাংবাদিক জহির এনসিপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হতে আর ‘দুই দিন’ সময় লাগতে পারে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় যুব দলের দোয়া মাহফিল “স্বেচ্ছায় বিবাহ, তবুও  অপহরণ মামলা-নিরাপত্তা চেয়ে  ইসরাত খাতুন”র সংবাদ সম্মেলন ৮ দল আমাদের আর ৮ দল থাকছে না- আরও অনেক দল জোট করার আবেদন করছে- গোলাম পরওয়ার

“কেবল ফলাফলমুখী শিক্ষা নয় যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষা চাই”

—–এম নজরুল ইসলাম খান

একটা সফল রেজাল্ট কার্ডের চেয়ে একজন সার্থক শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা যথার্থ।সব অভিভাবকই চান তার সন্তান শিক্ষা- দীক্ষায়, আচার-আচরণে, মেধা-মননে সুনাগরিক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করুক। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীতে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি তারা যেন নিজেদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। সে ধরনের শিক্ষাই প্রত্যেক পিতা-মাতা তথা অভিভাবকগণ সন্তানকে দিতে চান কিন্তু তবুও সবার প্রত্যাশা পূরণ হয় না এর জন্য ভালো ও সচেতন অভিভাবক হওয়া অত্যন্ত জরুরি। উপযুক্ত অভিভাবকই পারে চাওয়াকে পাওয়ায়তে রূপান্তরিত করতে।
প্রতিষ্ঠানের বা শিক্ষকের পক্ষ থেকে অতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা /অনুরোধ ও আবেদনগুলি অধিকাংশ অভিভাবকগণ সঠিক মত প্রতিপালন না করে শুধু পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করতে প্রত্যাশা করেন।এটা কি সম্ভব ? আপনার সন্তানের কল্যাণে কি কি বিষয় প্রয়োজন? সন্তান প্রতিপালনের সঠিক নিয়ম/ পদ্ধতি কি? সন্তানের নৈতিক শিক্ষাদানের পদ্ধতি কি? পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের উপায় উপায় কি? এসবের উত্তর জানা একান্ত দরকার।সন্তান স্কুলে ঠিকমতো উপস্থিত থাকে কিনা? বিগত ফলাফল পর্যালোচনা করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেছেন কিনা? শিক্ষার্থী অসুস্থ থাকলে লেখা-পড়ার ব্যাঘাত হবে চিন্তিত হয়ে দ্রুত চিকিৎসক দেখিয়েছেন কিনা? ভার্চুয়াল জগতে বা ফেসবুক /ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে বা ইন্টারনেটে আসক্তি কিনা? নিয়মিত পড়ার টেবিলে পড়তে বসে কিনা? আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বা ঈদ/ পূজায় অতিরিক্ত বেড়ানোর কারণে লেখাপড়ায় ক্ষতি হচ্ছে কিনা বা কোন অতিথি ঘরে / বাড়িতে/বাসায় আসলে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে কিনা? এসব বিষয়ে সচেতন না থাকলে অথবা এসব বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিয়ে ভালো রেজাল্ট করার আশা করা বৃথা।

ভালো রেজাল্ট এবং ভালো শিক্ষার্থীর সব সময় এক নয়।সে সকল অভিভাবক গণেরই বেশি সমস্যা হয় বা তারাই মনের ভেতর রাগ /ক্ষোভ নিয়ে বসে থাকেন যারা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের ডাকা মিটিং-এ অনুপস্থিত বেশি। তাই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সকল অভিভাবকদের স্বার্থেই, ছাত্রেরদের ভালো লেখাপড়ার স্বার্থে,ফলাফলে সবার প্রিয় করতে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-নীতি, লেখাপড়া পদ্ধতি,পরীক্ষা পদ্ধতি,সিলেবাস,রেজাল্ট কার্ড এর প্রস্তুত পদ্ধতি সহ সকল বিষয়ে অবগত হওয়ার জন্য যখন ডাকে বা অভিভাবক মিটিং হয় তখন সব কাজ রেখে সন্তানের কল্যাণে আগে মিটিং-এ যাবেন।
শিশুর কল্যাণের জন্য পিতা-মাতার সব সময় শিক্ষকের সাথে সুসম্পর্ক/যোগাযোগ রাখা উচিৎ। যখন সাময়িক/প্রান্তিক/ সামষ্টিক পরীক্ষার/ মূল্যায়নের ফলাফল/ শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির রিপোর্ট কার্ড বিতরণ হয় তখন ডাকা হয়।
শুধুই লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির কার্ড/ রেজাল্ট প্রস্তুত করা হয় না।ফলাফল বিষয়ে অনেক কথা আছে যা বুঝতে হবে নতুবা বর্তমানের ফলাফল ব্যবস্থায় অভিভাবকদের মন খারাপ হতে পারে,তাই শিশুদের ফলাফল না বুঝে কেউ শিশুদের প্রতি মন খারাপ করবেন না, ফলাফল বিষয় শিক্ষকদের পরামর্শ শুনুন।শিক্ষার্থীদের কি কি দোষ -ত্রুটি বা শিখন ঘাটতি আছে তা নির্ণয় করে সেসব শিক্ষা দিতে হবে। সন্তানের পরীক্ষার খাতাটা শিক্ষার একটি উপায় মাত্র কারণ সে কি কি ভুল করেছে বা কি কি লিখতে পারেনি তার বিপরীতে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনার ফ্যামিলির যারা শিক্ষিত বা পরীক্ষার খাতাটা বুঝতে পারবে তাকে দিয়ে খাতাটা চেক করে নিন,কোন সমস্যা থাকলে অফিসে জানাবেন।শিক্ষক মানুষতো তাঁরও ভুল হয়,ভুল পেলে ধরিয়ে দিতে হবে শত্রুতা করা যাবেনা। ভালো ফলাফলের জন্য অভিভাবকের কর্তব্য ছাত্র- ছাত্রীর চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। নাম্বার বেশি দিলেই/পেলেই খুশি হন এমন যদি হয় অভিভাবক তবে তার সন্তান শিক্ষা হবেনা।নাম্বার দেয়া কোন ব্যপারইনা, শিক্ষা দেয়াটাই বড় ব্যপার। শিশুর খাতা পর্যবেক্ষণ/ পর্যালোচনা করানোর তারিখ যখন পাবেন অবশ্যই আসবেন।শিশুর শিক্ষার ক্ষেত্রে যে ত্রুটি বা ভুলগুলি আছে সেগুলি শুদ্ধ করার জন্য ভুল কেঁটে সেগুলো আবার শুদ্ধ করে লিখিয়ে তারপর তাকে শিখাতে হবে। প্রয়োজনে এসে স্যারকে বলে খাতা মোবাইলে ছবি করে নিবেন।যারা শিশুর জন্য শ্রম দিতে রাজি আছেন তারা সফল হবেন,ইনশাআল্লাহ।
অতএব, বেশি নাম্বার না পাওয়ার চেয়ে যথাযথ শিক্ষা অর্জনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।তাই মিটিং-এ সকল অভিভাবক এর উপস্থিতি একান্ত কাম্য।শিশুদের নিয়ে কি পরিকল্পনা তা শিক্ষকদের জানাবেন, শিশুদের ভুল -ভ্রান্তি নিয়ে বা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে সময় করে আসবেন,বসবেন।প্রতিষ্ঠানের সফলতা, মঙ্গল এই শিশুদের উপর নির্ভরশীল।শিক্ষকগণ চান সকল শিক্ষার্থীরা প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক। প্রথম স্থান -দ্বিতীয় স্থান- তৃতীয় স্থান এটা তেমন বড় বিষয় নয়।১০০ এর মধ্যে ৩৩ নাম্বার পেয়েও কোন কোন প্রতিষ্ঠানে প্রথম স্থান হওয়া যায়, আবার এমন বহু প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে ৯৯ নম্বর পেয়েও প্রথম স্থান পাওয়া যায় না। নাম্বার পাওয়া বড় বিষয় নয় বিষয় হচ্ছে শিক্ষা।কতটা শিখলো তাই আসল।ভালো নাম্বারের চেয়ে কতটা ভালো শিক্ষার্থী তাই কাম্য।ভালো
পরীক্ষার্থীর চেয়ে ভালো শিক্ষার্থী দরকার।
ভালো শিক্ষার্থী তৈরির জন্য শুধু পরীক্ষায় নয়।পরীক্ষা হলো শিক্ষার্থীর শিখনে আরও কি কি সহায়তা বা অগ্রগতি দরকার তা নির্ণয় করার সুযোগ। ভালো শিক্ষার জন্য যোগ্য শিক্ষক, সচেতন অভিভাবক ও মনোযোগী শিক্ষার্থী প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত ও সামাজিক গুণাবলী অর্জন,কাঙ্খিত আচরণিক পরিবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার নৈতিক গুণাবলী অর্জন করতে পারে।তাই বলাতে কোন দ্বিধা নেই,”ভালো রেজাল্ট কার্ডের প্রত্যাশার চেয়ে দক্ষ,যোগ্য,যথার্থ শিক্ষার্থী শ্রেয়”।
লেখক, চট্টগ্রাম মডেল স্কুল এর প্রতিশ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

ভিডিও বানাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কনটেন্ট ক্রিয়েটর

“কেবল ফলাফলমুখী শিক্ষা নয় যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষা চাই”

প্রকাশের সময়ঃ ০৩:৩২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

—–এম নজরুল ইসলাম খান

একটা সফল রেজাল্ট কার্ডের চেয়ে একজন সার্থক শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা যথার্থ।সব অভিভাবকই চান তার সন্তান শিক্ষা- দীক্ষায়, আচার-আচরণে, মেধা-মননে সুনাগরিক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করুক। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীতে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি তারা যেন নিজেদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। সে ধরনের শিক্ষাই প্রত্যেক পিতা-মাতা তথা অভিভাবকগণ সন্তানকে দিতে চান কিন্তু তবুও সবার প্রত্যাশা পূরণ হয় না এর জন্য ভালো ও সচেতন অভিভাবক হওয়া অত্যন্ত জরুরি। উপযুক্ত অভিভাবকই পারে চাওয়াকে পাওয়ায়তে রূপান্তরিত করতে।
প্রতিষ্ঠানের বা শিক্ষকের পক্ষ থেকে অতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা /অনুরোধ ও আবেদনগুলি অধিকাংশ অভিভাবকগণ সঠিক মত প্রতিপালন না করে শুধু পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করতে প্রত্যাশা করেন।এটা কি সম্ভব ? আপনার সন্তানের কল্যাণে কি কি বিষয় প্রয়োজন? সন্তান প্রতিপালনের সঠিক নিয়ম/ পদ্ধতি কি? সন্তানের নৈতিক শিক্ষাদানের পদ্ধতি কি? পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের উপায় উপায় কি? এসবের উত্তর জানা একান্ত দরকার।সন্তান স্কুলে ঠিকমতো উপস্থিত থাকে কিনা? বিগত ফলাফল পর্যালোচনা করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেছেন কিনা? শিক্ষার্থী অসুস্থ থাকলে লেখা-পড়ার ব্যাঘাত হবে চিন্তিত হয়ে দ্রুত চিকিৎসক দেখিয়েছেন কিনা? ভার্চুয়াল জগতে বা ফেসবুক /ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে বা ইন্টারনেটে আসক্তি কিনা? নিয়মিত পড়ার টেবিলে পড়তে বসে কিনা? আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বা ঈদ/ পূজায় অতিরিক্ত বেড়ানোর কারণে লেখাপড়ায় ক্ষতি হচ্ছে কিনা বা কোন অতিথি ঘরে / বাড়িতে/বাসায় আসলে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে কিনা? এসব বিষয়ে সচেতন না থাকলে অথবা এসব বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিয়ে ভালো রেজাল্ট করার আশা করা বৃথা।

ভালো রেজাল্ট এবং ভালো শিক্ষার্থীর সব সময় এক নয়।সে সকল অভিভাবক গণেরই বেশি সমস্যা হয় বা তারাই মনের ভেতর রাগ /ক্ষোভ নিয়ে বসে থাকেন যারা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের ডাকা মিটিং-এ অনুপস্থিত বেশি। তাই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সকল অভিভাবকদের স্বার্থেই, ছাত্রেরদের ভালো লেখাপড়ার স্বার্থে,ফলাফলে সবার প্রিয় করতে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-নীতি, লেখাপড়া পদ্ধতি,পরীক্ষা পদ্ধতি,সিলেবাস,রেজাল্ট কার্ড এর প্রস্তুত পদ্ধতি সহ সকল বিষয়ে অবগত হওয়ার জন্য যখন ডাকে বা অভিভাবক মিটিং হয় তখন সব কাজ রেখে সন্তানের কল্যাণে আগে মিটিং-এ যাবেন।
শিশুর কল্যাণের জন্য পিতা-মাতার সব সময় শিক্ষকের সাথে সুসম্পর্ক/যোগাযোগ রাখা উচিৎ। যখন সাময়িক/প্রান্তিক/ সামষ্টিক পরীক্ষার/ মূল্যায়নের ফলাফল/ শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির রিপোর্ট কার্ড বিতরণ হয় তখন ডাকা হয়।
শুধুই লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির কার্ড/ রেজাল্ট প্রস্তুত করা হয় না।ফলাফল বিষয়ে অনেক কথা আছে যা বুঝতে হবে নতুবা বর্তমানের ফলাফল ব্যবস্থায় অভিভাবকদের মন খারাপ হতে পারে,তাই শিশুদের ফলাফল না বুঝে কেউ শিশুদের প্রতি মন খারাপ করবেন না, ফলাফল বিষয় শিক্ষকদের পরামর্শ শুনুন।শিক্ষার্থীদের কি কি দোষ -ত্রুটি বা শিখন ঘাটতি আছে তা নির্ণয় করে সেসব শিক্ষা দিতে হবে। সন্তানের পরীক্ষার খাতাটা শিক্ষার একটি উপায় মাত্র কারণ সে কি কি ভুল করেছে বা কি কি লিখতে পারেনি তার বিপরীতে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনার ফ্যামিলির যারা শিক্ষিত বা পরীক্ষার খাতাটা বুঝতে পারবে তাকে দিয়ে খাতাটা চেক করে নিন,কোন সমস্যা থাকলে অফিসে জানাবেন।শিক্ষক মানুষতো তাঁরও ভুল হয়,ভুল পেলে ধরিয়ে দিতে হবে শত্রুতা করা যাবেনা। ভালো ফলাফলের জন্য অভিভাবকের কর্তব্য ছাত্র- ছাত্রীর চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। নাম্বার বেশি দিলেই/পেলেই খুশি হন এমন যদি হয় অভিভাবক তবে তার সন্তান শিক্ষা হবেনা।নাম্বার দেয়া কোন ব্যপারইনা, শিক্ষা দেয়াটাই বড় ব্যপার। শিশুর খাতা পর্যবেক্ষণ/ পর্যালোচনা করানোর তারিখ যখন পাবেন অবশ্যই আসবেন।শিশুর শিক্ষার ক্ষেত্রে যে ত্রুটি বা ভুলগুলি আছে সেগুলি শুদ্ধ করার জন্য ভুল কেঁটে সেগুলো আবার শুদ্ধ করে লিখিয়ে তারপর তাকে শিখাতে হবে। প্রয়োজনে এসে স্যারকে বলে খাতা মোবাইলে ছবি করে নিবেন।যারা শিশুর জন্য শ্রম দিতে রাজি আছেন তারা সফল হবেন,ইনশাআল্লাহ।
অতএব, বেশি নাম্বার না পাওয়ার চেয়ে যথাযথ শিক্ষা অর্জনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।তাই মিটিং-এ সকল অভিভাবক এর উপস্থিতি একান্ত কাম্য।শিশুদের নিয়ে কি পরিকল্পনা তা শিক্ষকদের জানাবেন, শিশুদের ভুল -ভ্রান্তি নিয়ে বা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে সময় করে আসবেন,বসবেন।প্রতিষ্ঠানের সফলতা, মঙ্গল এই শিশুদের উপর নির্ভরশীল।শিক্ষকগণ চান সকল শিক্ষার্থীরা প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক। প্রথম স্থান -দ্বিতীয় স্থান- তৃতীয় স্থান এটা তেমন বড় বিষয় নয়।১০০ এর মধ্যে ৩৩ নাম্বার পেয়েও কোন কোন প্রতিষ্ঠানে প্রথম স্থান হওয়া যায়, আবার এমন বহু প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে ৯৯ নম্বর পেয়েও প্রথম স্থান পাওয়া যায় না। নাম্বার পাওয়া বড় বিষয় নয় বিষয় হচ্ছে শিক্ষা।কতটা শিখলো তাই আসল।ভালো নাম্বারের চেয়ে কতটা ভালো শিক্ষার্থী তাই কাম্য।ভালো
পরীক্ষার্থীর চেয়ে ভালো শিক্ষার্থী দরকার।
ভালো শিক্ষার্থী তৈরির জন্য শুধু পরীক্ষায় নয়।পরীক্ষা হলো শিক্ষার্থীর শিখনে আরও কি কি সহায়তা বা অগ্রগতি দরকার তা নির্ণয় করার সুযোগ। ভালো শিক্ষার জন্য যোগ্য শিক্ষক, সচেতন অভিভাবক ও মনোযোগী শিক্ষার্থী প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত ও সামাজিক গুণাবলী অর্জন,কাঙ্খিত আচরণিক পরিবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার নৈতিক গুণাবলী অর্জন করতে পারে।তাই বলাতে কোন দ্বিধা নেই,”ভালো রেজাল্ট কার্ডের প্রত্যাশার চেয়ে দক্ষ,যোগ্য,যথার্থ শিক্ষার্থী শ্রেয়”।
লেখক, চট্টগ্রাম মডেল স্কুল এর প্রতিশ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক